in ,

২০১১ যেসব কিংবদন্তীর শেষ বিশ্বকাপ ছিল

২০১১ ছিল লিটল মাস্টার খ্যাত শচীন টেন্ডুলকারের শেষ বিশ্বকাপ৷
২০১১ ছিল লিটল মাস্টার খ্যাত শচীন টেন্ডুলকারের শেষ বিশ্বকাপ৷

ক্রিকেট বিশ্বকাপ মানেই আনন্দ উত্তেজনায় ভরপুর একটি মাস। এর মধ্যে ২০১১ বিশ্বকাপ বিশেষ করে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ ২০১১ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ী দেশটি যে ছিল ভারত। এছাড়া আরেকটি কারণও বোধহয় আছে। ২০১১ ছিল লিটল মাস্টার খ্যাত শচীন টেন্ডুলকারের শেষ বিশ্বকাপ৷

শচীন টেন্ডুলকার ছাড়া আরও ৫ কিংবদন্তী ক্রিকেটারের শেষ বিশ্বকাপ ছিল ২০১১। সেই ৫ গ্রেটদের নিয়েই আজকের আয়োজন।

শচীন টেন্ডুলকার

ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই রান মেশিন ২০১১ বিশ্বকাপের প্রায় সব ম্যাচেই ভক্তদের উপহার দিয়েছেন দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং। ২টি সেঞ্চুরি আর ২টি হাফ সেঞ্চুরি সমেত ৪৮২ রান সংগ্রহ করে ২০১১ বিশ্বকাপের ২য় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের রেকর্ড ছিল তার ঝুলিতে৷ যদিও তিনি ফাইনাল ম্যাচে বড় অংকের রান সংগ্রহ করতে পারেননি, কিন্তু ক্যাপ্টেন ধোনি তার হাতে উপহারস্বরূপ তুলে দিয়েছিলেন ২০০৩ সালে অল্পের জন্য মিস হওয়া তার স্বপ্নের বিশ্বকাপ।

রিকি পন্টিং

যদি অস্ট্রেলিয়ার সফল ক্রিকেটারদের একটি তালিকা তৈরী করতে বলা হয় তবে রিকি পন্টিং এর নাম অবশ্যই সেই তালিকার প্রথম সারিতে থাকবে। ২০১১ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান এই কিংবদন্তীর ৭ ম্যাচে সংগ্রহ ছিল ২০৬ রান৷ কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে তার একটি সেঞ্চুরিও ছিল৷ তবে, ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারের মাধ্যমে  দুবার বিশ্বকাপ জয়ী এই চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের ২০১১ বিশ্বকাপ মিশনের সমাপ্তি ঘটে। ২০১২ সালে তিনি তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। টেস্টে রিকি পন্টিং-এর মোট রান ১৩,৩৭৮, ওয়ানডেতে ১৩,৭০৪ রান ও টি-টোয়েন্টিতে ৪০১ রান।

শোয়েব আক্তার

“রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস”- খ্যাত এই পাকিস্তানি পেসার ২০১১ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তার অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ২৯ রানে ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল৷ যদিও, সে ম্যাচে শোয়েব আক্তার খেলেননি। তাবে তার আগের দুটো ম্যাচে তিনি ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন। শোয়েব আক্তার ৪৬ টেস্টে ১৭৮ উইকেট শিকার করেছিলেন। ১৬৩ ওয়ানডেতে তার পাওয়া উইকেটের সংখ্যা ২৪৭। ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি ১৯ উইকেট শিকার করেছিলেন।

মুত্তিয়া মুরালিধরন

২০১১ ছিল শ্রীলঙ্কার এই স্পিন ম্যাজিশিয়ানের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। সে বিশ্বকাপে তার বোলিং পারফরম্যান্স ছিল মনে রাখার মতো। ৯ ম্যাচে তিনি ১৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। এপ্রিল ২, ২০১১ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটি ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে। এই স্পিনারের টেস্ট ম্যাচে শিকার করা উইকেটের সংখ্যা ৮০০। ওয়ানডেতে তিনি ৫৩৪ উইকেট শিকার করেছেন ও টি-টোয়েন্টিতে ১৩।

ব্রেট লি

২০১১ যাদের শেষ বিশ্বকাপ ছিল তার মধ্যে স্পিড স্টার ব্রেট লিও রয়েছেন। এভারেজ ১৮.০৭ সমেত সে বিশ্বকাপে তিনি ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট শিকার করেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৮ রানে ৪ উইকেট শিকার ছিল তার ক্যারিয়ারের বেস্ট বোলিং পারফরম্যান্স। ওয়ানডেতে ৩৮০ উইকেট ও টেস্টে ৩১০ উইকেট নিয়ে ২০১২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন৷ যদিও ২০১৫ অবধি তাকে বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লীগ গুলোতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

লিখেছেন- পূজা ধর