in ,

সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি

সিজিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতি

সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি
সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি

এই লেখায় যে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন-

  • জিপিএ ও সিজিপিএ- এর মধ্যে পার্থক্য
  • সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি
  • জিপিএ- এর পূর্ণরূপ
  • সিজিপিএ- এর পূর্ণরূপ

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সিজিপিএ(CGPA) শব্দটি আমাদের অনেকের ঘুম কেড়ে নেয়। প্রতি সেমিস্টারেই মনে মনে কিংবা খাতা কলমে হিসেব করতে থাকি কোন কোর্সে কত গ্রেড পেলে সিজিপিএ-এর মান রাখায় যায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এমন অনেক বন্ধু-বান্ধব ও জুনিয়র ভাই-বোনদের দেখেছি তারা নিজে একটু করে সিজিপিএ বের করতে চায় না। সিজিপিএ(CGPA) বের করার কাজটি তারা অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয়। এই সহজ কাজটির জন্য অন্য কারো ওপর যেন নির্ভরশীল থাকতে না হয় তাই আজকে খুবই সহজ কথায় জিপিএ (GPA) ও সিজিপিএ(CGPA) বের করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো।

জিপিএ(GPA) ও সিজিপিএ(CGPA) এর মধ্যে পার্থক্য

জিপিএ(GPA)- এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Grade Point Average। আর সিজিপিএ(CGPA)- এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Cumulative Grade Point Average।

আমাদের প্রতি সেমিস্টারের প্রাপ্ত গ্রেডকে বলা হয় জিপিএ(GPA)। অপরদিকে কয়েক সেমিস্টারের গড় জিপিএ-কে বলা হয় সিজিপিএ(CGPA)। এই সংজ্ঞা আর কিছুক্ষণের মধ্যে একদম দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি

প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জিপিএ ও সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি একই। পার্থক্য থাকে শুধু গ্রেডিং পয়েন্টে। ধরা যাক, কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং পদ্ধতি নিম্নরূপ-

Numerical Letter Grade Grade Point
90-100 A+ 4.00
85-<90 A 3.75
80-<85 B+ 3.50
75-<80 B 3.25
70-<75 C+ 3.00
65-<70 C 2.75
60-<65 D+ 2.5
50-<60 D 2.25
<50 F 0.0

মনোযোগ দিয়ে উপরের টেবিলটি দেখলেই গ্রেড পয়েন্ট ও লেটার গ্রেড সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাওয়ার কথা। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০ পেলেই গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০ তোলা যায়, অর্থাৎ লেটার গ্রেডে সেটা A+। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ পেলে লেটার গ্রেডে A+ পাওয়া যায়। তাই নিজের ভার্সিটির গ্রেডিং সিস্টেমটি সবার জেনে রাখা উচিৎ।

এখন চলে আসি জিপিএ গণনায়। লেটার গ্রেড ও গ্রেড পয়েন্টের পাশাপাশি কোন কোর্সে কত ক্রেডিট সেটি জেনে রাখা জরুরী। নিচের উদাহরণ মনোযোগ দিয়ে দেখলে আশা করি সবাই স্বচ্ছ একটি ধারণা পাবে। ধরি, কোন একজন ছাত্রের প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট নিম্নরুপ-

Courses Grade Credit Points
Course-1 A+ 3 4.00*3 = 12.00
Course-2 B+ 3 3.50*3 = 10.50
Course-3 A 3 3.75*3 = 11.25
Course-4 A+ 3 4.00*3 = 12.00
Course-5 A 3 3.75*3 = 11.25
Total 15 57.00

এখানে দেখতে পাচ্ছি, ছাত্রটি প্রথম সেমিস্টারে মোটে ৫টি কোর্স সম্পন্ন করেছে। প্রত্যেকটি কোর্স ছিল ৩ ক্রেডিটের। অর্থাৎ সে প্রথম সেমিস্টারের ৫টি কোর্স ও ১৫ (৫*৩) ক্রেডিট কমপ্লিট করেছে।

ক্রেডিট গণনা

বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে প্রত্যেকটি কোর্সের একটি নির্দিষ্ট ক্রেডিট মান রয়েছে। কোন কোর্স ৩ ক্রেডিটের হতে পারে, কোন কোর্স ২ ক্রেডিটের হতে পারে, আবার কোন কোন কোর্স বিশেষ করে ল্যাব কোর্স ১ ক্রেডিটের হয়ে থাকে। প্রতিটি কোর্সের সাথে তাদের ক্রেডিট মান গুণ করলেই কোন সেমিস্টারে একজন ছাত্র মোট কত ক্রেডিট কমপ্লিট করেছে তা জানা যায়। উপরের উদাহরণে ৫টি কোর্সেরই ক্রেডিট মান ৩। তাই মোট ক্রেডিট ৫*৩=১২।

পয়েন্ট গণনা

কোন কোর্সে প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্টের সাথে ওই কোর্সের ক্রেডিট গুণ করলেই মোট পয়েন্ট বের করা যায়।

জিপিএ বের করার পদ্ধতি

এখন জিপিএ বের করার পালা। আমাদের উদাহরণের ছাত্রটির প্রথম সেমিস্টারের জিপিএ (৫৭.০০/১৫) = ৩.৮০।

অর্থাৎ,

জিপিএ = (কোন সেমিস্টারে অর্জিত মোট পয়েন্ট)/ (সেই সেমিস্টারের মোট ক্রেডিট)

আবার ধরে নেই, এই ছাত্রটির দ্বিতীয় সেমিস্টারের রেজাল্ট নিম্নরুপ-

Courses Grade Credit Points
Course-6 A 3 3.75*3 = 11.25
Course-7 B 3 3.25*3 = 9.75
Course-8 A+ 3 4.00*3 = 12.00
Course-9 B+ 3 3.50*3 = 10.50
Course-10 D 3 2.25*3 = 6.75
Total 15 50.25

তাহলে দ্বিতীয় সেমিস্টারের জিপিএ দাঁড়াচ্ছে (৫০.২৫/১৫)=  ৩.৩৫।

সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি

সব সেমিস্টারের জিপিএ- এর গড় করলেই সিজিপিএ পাওয়া যায়। দুই সেমিস্টার শেষে ছাত্রটির সিজিপিএ হবে (৫৭.০০+৫০.২৫)/(১৫+১৫) = ৩.৫৭।

অর্থাৎ,

সিজিপিএ = (সব সেমিস্টার মিলিয়ে প্রাপ্ত মোট পয়েন্ট)/ (সব সেমিস্টার মিলিয়ে সম্পন্ন করা মোট ক্রেডিট)

উপরের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকলে এতক্ষণে সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি পানির মতো সহজ লাগার কথা। যদি এখনো কোন খটকা থাকে তাহলে আরেকবার লেখাটি পড়ে নিন। আর লেখাটি  যদি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাজে আসবে বলে মনে হয় তাহলে তাদের সাথেও শেয়ার করুন। আশা করি আজকের পর থেকে সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি চাইলেও ভুলতে পারবেন না।