শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রভাবকগুলো বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ দুরকম হতে পারে। শ্বসন প্রক্রিয়ার বাহ্যিক প্রভাবক কোনটি ও শ্বসন প্রক্রিয়ার অভ্যন্তরীণ প্রভাবক কোনটি তা নিম্নে তুলে আলোচনা করা হলো।
শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রভাবক
শ্বসন প্রক্রিয়ার বাহ্যিক প্রভাবক
শ্বসন প্রক্রিয়ার বাহ্যিক প্রভাবকগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
তাপমাত্রাঃ ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে এবং ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরের তাপমাত্রায় শ্বসন হার কমে যায়। শ্বসনের জন্য উত্তর তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
অক্সিজেনঃ সবাত শ্বসনে পাইরুভিক এসিড জারিত হয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করে। কাজেই অক্সিজেনের অভাবে সবাত শ্বসন কোনক্রমেই চলতে পারে না।
পানিঃ পরিমিত পানি সরবরাহ শ্বসন ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে। কিন্ত অত্যন্ত কম কিংবা অতিরিক্ত পানির উপস্থিতিতে শ্বসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
আলোঃ শ্বসন কার্যে আলোর প্রয়োজন পড়ে না সত্যি কিন্ত দিনের বেলা আলোর উপস্থিতিতে পত্ররন্ধ্র খোলা থাকায় অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করা সহজ হয় বলে শ্বসন হার একটু বেড়ে যায়।
কার্বন ডাই-অক্সাইডঃ বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে গেলে শ্বসন হার একটুখানি কমে যায়।
শ্বসন প্রক্রিয়ার অভ্যন্তরীণ প্রভাবক
শ্বসন প্রক্রিয়ার অভ্যন্তরীণ প্রভাবকগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
খাদ্যদ্রব্যঃ শ্বসন প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য ভেঙ্গে শক্তি, পানি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত করে। তাই কোষে খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ ও ধরন শ্বসন হার নিয়ন্ত্রণ করে।
উৎসেচকঃ শ্বসন প্রক্রিয়ায় অনেক ধরনের এনজাইম বা উৎসেচক সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। কাজেই এনজাইমের ঘাটতি শ্বসনের হার কমিয়ে দেয়।
কোষের রসঃ অল্প বয়স্ক কোষে, বিশেষ করে ভাজক কোষে প্রোটোপ্লাজম বেশি থাকে বলে সেখানে বয়স্ক কোষ থেকে শ্বসনের হার বেশি।
অজৈব লবণঃ কোন কোন লবণ শ্বসন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করলেও কোষের সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং স্বাভাবিক শ্বসন প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য কোষের ভিতরে অজৈব লবণ থাকতে হয়।
কোষমধ্যস্থ পানিঃ বিভিন্ন শ্বসনিক বস্তু দ্রবীভূত করতে এবং এনজাইমের কার্যকারিতা প্রকাশের জন্য পানির প্রয়োজন।
শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রভাবকসমূহ জানার পাশাপাশি আরও পড়ুন- শ্বসন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব