in

রচনা: কবি কাজী নজরুল ইসলাম

রচনাঃ আমার প্রিয় কবি

রচনা: কবি কাজী নজরুল ইসলাম
রচনা: কবি কাজী নজরুল ইসলাম

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় প্রায়ই “আমার প্রিয় কবি” কিংবা “কবি কাজী নজরুল ইসলাম” রচনাটি আসে। একটি রচনা ঠিকমতো পয়েন্ট সহকারে পড়লে দুটি রচনাই পড়া হয়ে যায়। নিম্নে ১৩ পয়েন্ট সহ আমার প্রিয় কবি রচনাটি তুলে ধরা হলো।

রচনাঃ আমার প্রিয় কবি / রচনাঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম

ভূমিকা:

“থাকব না ক বদ্ধ ঘরে/দেখব এবার জগৎটাকে কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।” (সংকল্প- কবি কাজী নজরুল ইসলাম)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক, যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী এবং অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জন্ম নেয়া এই কবি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। কাজী নজরুল ইসলাম আমার প্রিয় সাহিত্যিক। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের শিল্পসৃজন যেখানে নৈতিক মানুষকে নিয়ে, রবীন্দ্রনাথের শিল্পসৃজন যেখানে নান্দনিক মানুষকে নিয়ে, সেখানে নজরুলের শিল্পসৃজন সাধারণ মানুষকে নিয়ে। তিনি ভাগ্যহত জীবনের অকৃত্রিম রূপকার। সমাজের অবহেলিত, ঘৃণিত মানুষজন স্থান পেয়েছে তাঁর সাহিত্যে। মানব মনের ক্রন্দনধ্বনি নজরুল সাহিত্যে ধ্বনিত হওয়ায়, তিনিই আমার প্রিয় বিদ্রোহী কবি। সকলের নিকট তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও সংগীতজ্ঞ। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সবসময় সোচ্চার। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালোবাসা, মুক্তি ও বিদ্রোহ। বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ অংশ জুড়ে নজরুলের সাহিত্যকর্ম বিদ্যমান।  তার সুন্দর সুন্দর কবিতায় ছোটদের ছেলেবেলা যেমন হয়েছে প্রাণচঞ্চল তেমনি তার গানে ও ছন্দে তরূণদের রক্ত হয়েছে গরম ও অন্যায়ের জন্য সোচ্চার হয়েছে মানুষ। তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন সকল অন্যায়-অত্যাচার,শোষণ, নির্যাতন,আর দুঃখ-দারিদ্র‍্যের বিরুদ্ধে।

নজরুলের জন্ম:

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতা জাহেদা খাতুন। চার পুত্র সন্তানের মৃত্যুর পর নজরুল জন্মগ্রহণ করায় বাবা-মা তার নাম রাখেন দুখু মিয়া। শৈশবেই তিনি তার পিতাকে হারান। পিতৃ বিয়োগের ফলে তাদের সংসারে নেমে আসে অভাবের ছায়া। সেই সময় অভিভাবকহীন নজরুল হয়ে যান কিছুটা উছৃঙ্খল ও দিশেহারা স্বভাবের।

নজরুলের শৈশব ও শিক্ষাজীবনঃ

নজরুলের শৈশবকাল ছিল বড়ই করুণ। মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি তার পিতাকে হারান। পিতাকে হারানোর পর তার সংসারে আসে অভাবের ছায়া। তাই মাত্র দশ বছর বয়সে তাকে পড়ালেখা বাদ দিয়ে উপার্জনের জন্য বাড়ির বাইরে বের হতে হয়। এলাকার মক্তব থেকে তিনি নিম্ন মাধ্যমিক পাশ করে সেই মক্তবেই শিক্ষকতা করা শুরু করেন। সেই সাথে সেই এলাকার হাজি পালোয়ানের কবরের সেবক এবং একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুর হাইস্কুলে কিছুকাল পড়ালেখা করেন। তারপর তিনি ভর্তি হন বর্ধমান জেলার রানীগঞ্জ সিয়ারসােল রাজ হাইস্কুলে। এখানে দশম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি ৪৯ নম্বর বেঙ্গল রেজিমেন্টে সৈনিক হয়ে প্রথম মহাযুদ্ধে যােগদান করেন। নজরুলের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশােনার এখানেই ইতি ঘটে। ছােট থেকেই নজরুল ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ছোটোবেলা থেকেই নজরুল ইসলাম সম্বন্ধে অনেক জ্ঞান রপ্ত করেন। যা তার পরবর্তী জীবনে সাহিত্যকর্মে তাকে সাহায্য করে। মূলত নজরুলই বাংলা সাহিত্যে ইসলামচর্চার কাজ শুরু করেন।

পারিবারিক জীবনঃ

নার্গিস আসার খানম (সৈয়দা খাতুন) কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। ১৯২১ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে নার্গিসের বিয়ে হয়। কিন্তু ঘর জামাই থাকার শর্ত নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে নজরুল নার্গিসকে রেখে দৌলতপুর ত্যাগ করে কুমিল্লা শহরের বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে চলে যান। সেখানে পরিচিত হন প্রমীলা দেবীর সাথে। এরপর তাদের প্রণয় হয়। ২৫ এপ্রিল ১৯২৪ সালে প্রমীলা দেবীর সাথে কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিলো কবি কাজী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়েতে কাজী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক মইনুদ্দিন হোসেন। বিয়ের পর প্রমীলা নাম দেওয়া হয় “আশালতা”।এরপর প্রায় ১৫ বছর পরে নজরুলের সাথে নার্গিসের দেখা হলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ।

সৈনিক জীবনঃ

১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রথমে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্ত প্রদেশের নওশেরাই যান। প্রশিক্ষণ শেষে করাচি সেনানিবাসে সৈনিক জীবন কাটাতে শুরু করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষভাগ থেকে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর। এই সময়ের মধ্যে তিনি ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাধারণ সৈনিক কর্পোরাল থেকে কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার পর্যন্ত হয়েছিলেন। উক্ত রেজিমেন্টের পাঞ্জাবী মৌলবির কাছে তিনি ফারসি ভাষা শিখেন। এছাড়া সহ-সৈনিকদের সাথে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সঙ্গীতের চর্চা অব্যাহত রাখেন, আর গদ্য-পদ্যের চর্চাও চলতে থাকে একই সাথে।

করাচি সেনানিবাসে বসে নজরুল যে রচনাগুলো সম্পন্ন করেন তার মধ্যে রয়েছে, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা); গল্প: হেনা, ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে, কবিতা সমাধি ইত্যাদি। এই করাচি সেনানিবাসে থাকা সত্ত্বেও তিনি কলকাতার বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকার গ্রাহক ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রবাসী, ভারতবর্ষ, ভারতি, মানসি, সবুজপত্র, সওগাত এবং বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা। এ সূত্রে বলা যায় নজরুলের সাহিত্য চর্চার হাতেখড়ি এই করাচি সেনানিবাসেই। সৈনিক থাকা অবস্থায় তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অংশ নেন। এ সময় নজরুলের বাহিনীর ইরাক যাবার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ থেমে যাওয়ায় আর যান নি। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধ শেষ হলে ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভেঙে দেয়া হয়। এরপর তিনি সৈনিক জীবন ত্যাগ করে কলকাতায় ফিরে আসেন।

সাম্যের কবি নজরুল:

নজরুলের কবিতার একটি বিশেষ দিক হলো অসাম্প্রদায়িকতা। তাই তাকে সাম্যের কবি বলা হয়। এই পৃথিবীতে সকল মানুষ কে তিনি এক জাতি অর্থাৎ ধনী-গরিব, ধলো-কালো ভুলে গিয়ে এক মানুষ জাতি হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। এই সাম্যের জন্য তিনি অনেক কবিতা লিখে গিয়েছেন। তিনি তার কবিতায় বলেন,

“গাহি সাম্যের গান

মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান”

তাছাড়া ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু-মুসলিম যে দাঙ্গা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে তিনি কলমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। তার কলম থেকে বেরিয়ে আসে,

“হিন্দু না ওরা মুসলিম

ঐ জিজ্ঞাসে কোন জন

কাণ্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ

সন্তান মোর মার”

তার জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা।

স্বদেশের কবি নজরুলঃ

কবি কাজী নজরুল ইসলাম সাম্য ও বিদ্রোহের কবি হিসেবে বেশি পরিচিতি লাভ করলেও স্বদেশের জন্যও তিনি কম কবিতা লেখেন নি। স্বদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি লিখেন,

“একি অপরূপ রুপে হেরিনু মা তোমায় পল্লী-জননী

ফুলে ফসলে, কাদামাটি জলে ঝলমল করে লাবণী”

স্বদেশের জন্য কবি নজরুল অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। স্বদেশের স্বাধীনতা ও ইংরেজদের বিরুদ্ধে কবিতা লিখে মানুষদের সচেতন করার জন্য তাকে অনেকবার জেলে যেতে হয়েছে। তবু তার কলম থেমে থাকেনি। জেলে বসেই তিনি রচনা করেন আরও অনেক কবিতা। দেশের এতটুকু অসম্মানও তিনি কখনোও সহ্য করেননি। দেশের জন্য আত্মত্যাগে তিনি ছিলেন সর্বদা প্রস্তুত।

মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামঃ

নজরুল ছিলেন মানবতার কবি। তার চোখে নারী-পুরুষ কোনো ভেদাভেদ ছিল না। নারী-পুরুষের এই ভেদাভেদ আজকের দিনের অনেকে মানতে না চাইলেও সেই সময় থেকেই নজরুল তা বুঝতে পেরেছিলেন। নজরুল তার কবিতায় বলেন,

“সাম্যের গান গাই

আমার চক্ষে পুরুষ রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই

বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যানকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর”

নজরুলের সাহিত্যে সম্ভারঃ

১৯২০ সাল থেকে নজরুল পুরােপুরি সাহিত্য রচনায় মনােনিবেশ করেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম মুক্তি। কিন্তু যে কবিতা তাঁকে খ্যাতি এনে দেয় তার নাম ‘বিদ্রোহী’। পরবর্তীকালে তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিতি লাভ করেন। নজরুল বাংলা সাহিত্যে এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেন। তিনি বাংলা গান ও কবিতা লেখার ধারাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিলেন। তিনি তার কবিতায় বাংলা, ফারসি ও আরবি শব্দের সুন্দর প্রয়োগ দেখান যা অন্য কোনো কবির কবিতায় দেখা যায় না। তিনিই বাংলার বেশিরভাগ গজল ও ইসলামী গানের রচয়িতা। বাংলা সাহিত্যে ইসলামচর্চা তিনিই প্রথম শুরু করেন।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘বিদ্রোহী’ কবিতা লিখে সর্বপ্রথম খ্যাতি অর্জন করেন। তারপর তার লেখা কাব্য অগ্নিবীণা, বিষের বাশি, দোলনচাপা, ছায়ানট ইত্যাদি প্রকাশ পায় এবং তিনি বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। শিশুদের জন্য লেখা তার বিভিন্ন কবিতা যেমনঃ খুকি ও কাঠবিড়ালী, লিচু চোর, খাঁদু-দাদু ইত্যাদির জন্যও তিনি বিখ্যাত। আনন্দময়ীর আগমনে কবিতাটি রচনা করে তিনি ব্রিটিশ শাসকদের ব্যঙ্গ করেছিলেন। এ কারণে তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে।

সংবধর্না,সম্মাননা ও পুরস্কারঃ

১৯২৯ সালে কলকাতা অ্যালবার্ট হলে নজরুলকে জাতির পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানাে হয়। ১৯৩৮ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলনে নজরুলকে সভাপতির পদে সমাসীন করে সম্মান দেখানাে হয়। ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুলকে ‘জগত্তারিণী’ স্বর্ণপদক প্রদান করে। ১৯৬০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ উপাধি দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে তাঁকে ডি.লিট উপাধি প্রদান করা হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

বাংলাদেশে আগমনঃ

১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টায় অসুস্থ কবিকে ঢাকায় আনা হয়। তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং জাতীয় কবির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা হয়।

মৃত্যু:

বাংলাদেশে অবস্থানকালে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবি কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়। প্রতিবছরই তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর সমাধিতে সবাই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।

উপসংহারঃ

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালির গর্ব, বাঙালির প্রিয় কবি। তিনি তার সৃষ্টির দ্বারাই বাংলা সাহিত্যে অমরত্ব পেয়েছেন। বাঙালি জাতি চিরকাল তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাঁর সাহিত্য যুগ যুগ ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আমাদের প্রেরণা জোগাবে। নজরুল শুধু একটি সময়ের কবি নন। তিনি সব সময়ের সব মানুষের কবি। কাজী নজরুল ইসলাম খুব অল্প সময় সাহিত্য সাধনার সুযােগ পেয়েছিলেন। তার মধ্যেই তিনি রচনা করেছিলেন অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশী, চক্রবাক, দোলনচাঁপা, ফণীমনসা প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ এবং কুহেলিকা, মৃত্যুক্ষুধা প্রভৃতি উপন্যাস। তিনি প্রায় দুই হাজারের মতাে গান রচনা করেছেন। তাঁর গানের সুরের বৈচিত্র্য আমাদের মুগ্ধ করে। মানুষ এখনাে শ্রদ্ধা সহকারে তার গান শােনে।

আরও পড়ুনঃ 

রচনা: আমার প্রিয় শিক্ষক

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান / চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান

রচনা: শ্রমের মর্যাদা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা (২০ পয়েন্ট)