নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে এবং নারীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য জাতিসংঘ তার সৃষ্টিলগ্ন থেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ ও আইন প্রণয়ন করে। ১৯৪৮ সালে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র ছাড়াও জাতিসংঘ নারী উন্নয়নে যে সব কাজ করে তা হলোঃ
১৯৪৯- মানব পাচার দমন ও পতিতাবৃত্তি আবসানের জন্যে জাতিসংঘ সনদ অনুমোদন।
১৯৫১- আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) কর্তৃক এক ধরনের কাজের জন্য নারী ও পুরুষ শ্রমিকের একই বেতন প্রদান।
১৯৫২- নারীর রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতি। নির্বাচনে নারী ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।
১৯৫৭- বিবাহিত নারী জাতীয়তা সংরক্ষণ বা পরিবর্তন করতে পারবে।
১৯৬০- নারীদের কর্মসংস্থান ও পেশাক্ষেত্রে বৈষম্য বিলোপ সনদ অনুমোদন।
১৯৬২- বিয়ের ন্যূনতম বয়স ও রেজিস্ট্রেশন সনদ অনুমোদন।
১৯৬২- বালিকা ও নারীদের শিক্ষাক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা।
১৯৭৫- নারী বছর ঘোষণা।
১৯৭৫- প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন, মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭৬-১৯৮৫- নারী দশক ঘোষণা।
১৯৭৯- নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ, সিডও (CEDAW) নামে অভিহিত। ১৯৮১ সালে এই সনদ কার্যকর হয়।
১৯৮০- দ্বিতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮৫- তৃতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯২- রিও ডি জেনেরোতে পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনে পরিবেশ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় নারীর ভূমিকার স্বীকৃতি।
১৯৯৩- অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা সম্মেলনে নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দান।
১৯৯৫- চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন, বেইজিং। এ বিশ্ব নারী সম্মেলনের ঘোষণা ছিল- “নারীর চোখে বিশ্ব দেখুন”। এ সম্মেলনে প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশন বা বেইজিং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
২০০০- বেইজিং প্লাস ফাইভ সম্মেলন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৫- বেইজিং প্লাস টেন সম্মেলন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়।
এভাবে নারীদের কল্যাণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রোটোকল, সেমিনার ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জাতিসংঘ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন- জাতিসংঘ কেন গঠিত হয়েছিল? জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কি?
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভূমিকা ও কার্যক্রম