in

জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা

জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা
জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা

বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। স্বভাবতই জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের অবদান ঈর্ষণীয়। বর্তমানে প্রায় ১১ হাজার এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্বের ১১টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের অভূতপূর্ব সাফল্য সারা বিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাকে অনেক বৃদ্ধি করেছে। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে।

আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে অন্যান্য দেশের সৈন্যরা যেখানে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছিল না সেখানে বাংলাদেশি সৈন্যরা শুধু গ্রহণযোগ্যতা নয়, পেয়েছে স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা। সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা পেয়েছে সেই দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। আইভরিকোস্টে অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম হয়েছে “বাংলাদেশ সড়ক”।

শান্তিমিশনে শুধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নয়, পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী ও মহিলা পুলিশও নিয়োজিত আছেন। তাদের অকান্ত পরিশ্রমের ফলে জাতিসংঘে তথা বিশ্বে বাংলাদেশ পেয়েছে ব্যাপক পরিচিত ও বিশেষ মর্যাদা।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার মিশন সহজ ছিল না। আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোকে যুদ্ধংদেহী দুই বা ততোধিক সশস্ত্র গেরিলাগোষ্ঠীর মাঝে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি সৈন্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অস্ত্র বিরতি পর্যবেক্ষণ করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। এ কাজে এখন পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্ব শান্তির জন্য শহিদ হয়েছেন। আহত হয়েছে অনেকে। বাংলাদেশি সৈন্যরা প্রমাণ করেছে শান্তির জন্য তারা জীবন দিতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের পথে, অধিকন্তু এর আছে বিশাল জনগোষ্ঠী। বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষিত সামরিক- বেসামরিক বাহিনী বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে অবদান রাখছে। উন্নত দেশগুলো অর্থ দিয়ে জাতিসংঘে অবদান রাখছে। বাংলাদেশ তার সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে বিশ্বশান্তি রক্ষায় রেখেছে এক অনন্য অবদান; বৃদ্ধি করেছে দেশের মর্যাদা ও গৌরব।

আরও পড়ুন- জাতিসংঘ কেন গঠিত হয়েছিল? জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কি?

আরও পড়ুন- বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভূমিকা ও কার্যক্রম