‘ছানা’ নিয়ে আমাদের অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। অন্ধকারে না থেকে শুদ্ধভাবে নামাজ পড়ার খাতিরে আমাদের সকলেরই উচিৎ নামাজে ছানা কখন পড়তে হয়, ছানা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ জেনে নেয়া।
ছানা অর্থ হলো আল্লাহার প্রশংসা করা। নামাজে ছানা পড়া সুন্নাত। নামাজে তাকবিরে তাহরিমার পর প্রথম কাজ হলো ছানা পড়া। হাত বাধার পর হুজুর কেরার পড়া শুরু করার আগে সানা পড়ে নেন। একই সময়ে অন্যদেরও সানা পড়ে নিতে হবে। যদি কেউ একা নামাজ পড়ে তখনও তাঁকে ছানা পড়তে হবে, হুজুরের সাথে নামাজ পড়লেও সানা পড়তে হবে।
অনেকেরই একটি প্রশ্ন থাকে, নামাজে কি প্রতি রাকাতে ছানা পড়তে হয়? উত্তর হলো, না। প্রতি রাকাতে সানা পড়ার কোন সুযোগ নেই। পুরো নামাজে একবার মাত্র সানা পড়তে হয়। একাধিক বার সানা পড়ার কোন প্রয়োজন নেই।
ছানা
উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বরকতপূর্ণ, আপনার মাহাত্ন সুউচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।

জামাত রুকুতে পেলেও ছানা পড়তে হবে কিনা?
আপনি যদি পরে জামাত পান তাহলে ইমামের শব্দ করে কেরাত পড়া অবস্থায় সানা না পড়াই উত্তম। কেননা কেরাত শোনা ফরজ।
এছাড়া অনেকেই আছেন, যারা ইমামকে রুকুতে পেয়ে, তাকবির বলে হাত বেঁধে দ্রুত সানা পড়ে রুকুতে যান। এতে যেটা হয়, অনেক সময় সানা পড়তে পড়তে রুকু শেষ হয়ে যায়। এতে ঐ রাকাত ছুটে যায়। তাই এটি করা ঠিক নয়। ইমামকে রুকুতে পেলে ছানা পড়তে হবে না, এমনকি হাত বাঁধতে হবে না। তাকবিরের পর সরাসরি রুকুতে গেলেই চলবে।
আরও পড়ুন- পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ বা শবে মেরাজের অর্থ ও ইতিহাস
আরও পড়ুন- তালিবান গোষ্ঠীর অতীত, বর্তমান