ক্রিকেটে টাকার ঝনঝনানি এসেছে ভারতের হাত ধরে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও ভারতের ক্রিকেটাররা যে সবার চেয়ে অর্থ বিত্তে এগিয়ে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। ভারতের ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন বলতে গেলে আকাশ ছোঁয়া। আইপিএল ও বিজ্ঞাপন হিসেবে ধরলে তাদের আয় প্রায় মহাকাশ ছুঁই ছুঁই।
কিছু দিন আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই তাদের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ৪ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন ২৮ ক্রিকেটার। ‘এ+’ ক্যাটাগরির প্লেয়াররা পাবেন বছরে ৭ কোটি রুপি, ‘এ’ ক্যাটাগরির প্লেয়াররা পাবেন বছরে ৫ কোটি রুপি, ‘বি’ ক্যাটাগরির প্লেয়াররা পাবেন বছরে ৩ কোটি রুপি, ‘সি’ ক্যাটাগরির প্লেয়াররা পাবেন বছরে ১ কোটি রুপি।
ভারতের সি ক্যাটাগরির প্লেয়ার বছরে যা পান, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম পান বছরে তার প্রায় অর্ধেক। তামিম ইকবালের মাসিক বেতন ৬ লাখ ৩০ হাজার ও মুশফিকুর রহিমের মাসিক বেতন ৬ লাখ ২০ হাজার। সেই হিসেবে বছরে তারা প্রায় ৫০ লাখ টাকার কাছাকাছি পান।
আইপিএল ক্রিকেটের জন্য ভালো কি মন্দ সেটি ভিন্ন আলোচনা। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, টি-২০ ক্রিকেটের লোভনীয় এই টুর্নামেন্ট ভারতের ক্রিকেটে বিপ্লব এনে দিয়েছে। আইপিএলে টাকার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্লেয়ারদের সাথে উঠাবসা ও মাঠের চাপ ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের পরিণত করছে সব দিক দিয়ে। আইপিএলে মাত্র ২ মাস খেলে ভারতের তরুণ এক ক্রিকেটার বছরে যা পান, অনেক দেশের ক্রিকেটাররা নিজের দেশের হয়ে সারা বছর খেলেও সে টাকা পান না।
সে যাইহোক, বিসিসিআই-এর বর্তমান চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের তালিকা আপনাদের জানিয়ে দেই-
এ+ গ্রেড (বার্ষিক ৭ কোটি)
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহ
এ গ্রেড (বার্ষিক ৫ কোটি)
রবিচন্দন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, চেতেশ্বর পূজারা, আজিঙ্কে রাহানে, হার্দিক পান্ডে, রিসভ পান্ট, শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, মোহাম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মা
বি গ্রেড (বার্ষিক ৩ কোটি)
উমেশ যাদব, ভুবেনশ্বর কুমার, ঋদ্ধিমান সাহা, শার্দূল ঠাকুর, মায়াঙ্ক আগারওয়াল
সি গ্রেড (বার্ষিক ১ কোটি)
শুবমান গিল, অক্ষর প্যাটেল, কুলদিপ যাদব, নবদ্বীপ সাইনি, দীপক চাহারম শ্রেয়াস আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুযবেন্দ্র চাহাল, হনুমা বিহারী