চলচ্চিত্রকে আস্ত একটা ভাষা কেন দাবি করা হয়? কারণ, ভাষার মূল উদ্দেশ্যই হলো যোগাযোগ। দেশ-জাতি-কাল ভেদে ভাষার রকমফের হতে পারে। কিন্তু সেটা কথ্য অথবা লেখ্যতেই সীমাবদ্ধ। অথচ মানুষের প্রতিটি ইন্দ্রিয়ের নিজস্ব প্রকাশ মাত্রা আছে। উদাত্ত হাত, কুঞ্চিত ভ্রু, নিমীলিত আঁখি, লাজ রাঙা গাল- দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গের স্বকীয় অবদান আছে যোগাযোগে।
চলচ্চিত্রেও তেমনটাই দেখি আমরা। চলচ্চিত্র সাঁকো হয়ে বেঁধে দেয় পারস্যের সন্তান আর নিউ ইয়র্কের কর্পোরেট চাকুরেকে, এই চলচ্চিত্রই ফ্রেমে আবদ্ধ করে মুখভঙ্গি, জীবনের গল্প, সঙ্গীতের মূর্ছনা, চারু ও কারু শিল্পের গভীর উপলব্ধিকে। তাই প্রায় সোয়া শ বছর বাদেও নিত্যনতুন অর্ঘ্যে বাদ্যে দর্শকদের কাছে উপস্থাপিত হচ্ছে বিরাট এই শিল্পমাধ্যম।
হলিউড, হংকং, ফ্রেঞ্চ,ইতালিয়ান প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রির মতোই ইরানি সিনেমার একনিষ্ঠ দর্শক সংখ্যাও হাতে গোনা নয়। সাদাসিধে গল্পকেই ফ্রেমবন্দি করে একের পর এক জীবনঘনিষ্ঠ কাহিনীর উপস্থাপন করে চলেছেন মহসেন মাখমলবাফ, আব্বাস কিয়ারোস্তমি, আসগার ফারহাদির মতো অসাধারণ নির্মাতারা।
৫ ইরানি সেরা মুভি
Children of Heaven (1997)
‘প্রতি দশকে নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে চলচ্চিত্রে জন্ম নিচ্ছে এমন সব প্রয়োগ ভাষা, যেগুলো বাস্তবিকই এ শিল্পকে দিন দিন জীবন্ত ও সৃজনশীল করে চলছে। কিন্তু এটাও সত্য, আজ যেটা উৎকৃষ্ট প্রয়োগ ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বা গুরুত্ব পাচ্ছে – হয়তো, আগামী দশকে সে ভাষার প্রয়োগে ততটুকু উৎকর্ষ খুঁজে না পাবার জন্য তা কম গুরুত্ব সহকারে ব্যবহৃত হতে পারে।‘
শেখ নেয়ামত আলীর সাথে একমত হতে গিয়েও হতে পারবেন না। কারণ কী বলছি। টেকনিক্যাল বা গল্প প্রকাশের ধরণ বাদ দিলে বলা যায় সারল্যের আবেদন সম্ভবত দেশকালের ঊর্ধ্বে মানবমনে জায়গা করে নেয়। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইরানি সিনেমা ‘চিলড্রেন অফ হ্যাভেন’।
এক জোড়া জুতো নিয়েই আস্ত এক সিনেমা ফাঁদতে কতটুকু এলেম প্রয়োজন বলুন তো? আর সেই সরস গল্প যদি মরু থেকে শহর, শহর থেকে অলিন্দ পুরো বিশ্বকে জয় করে ফেলে-তাকে আপনি কী বলবেন?
অথচ দেড় ঘণ্টার এক সেকেন্ডও আপনার চোখ সরবে না স্ক্রিন থেকে। ক্ষুদে ভাইবোনের স্বভাবজাত রসায়ন আর টানাপোড়েন মুহূর্তে মুহূর্তে অভিভূত করবে আপনাকে। প্রাপ্তবয়স্কের দায়বোধ আর অপরাধবোধের চাইতে নিষ্পাপ শিশুমনের কর্তব্যপরায়ণতা অনেকাংশেই পরিণত- আলি ও জাহরার জার্নি দেখলে নিজেই স্বীকার করবেন হয়তো।

মাজিদ মাজিদির ছবিটি সিনেপ্রেমিদের কাছে এতটাই নন্দিত ও পরিচিত যে এটি দেখেনি এমন লোক পাওয়াই দুঃসাধ্য। রেজা নাজি, আমির ফারুক, বাহারে সিদ্দিকী অভিনীত ছবিটি বিশ্বব্যাপী আয় করে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অস্কারে সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনীতও হয়েছিল এটি। ইরানি সেরা মুভি তালিকায় এটিকে প্রথম দিকেই রাখা যায়। IMDb রেটিং- ৮.৩।
A Separation (2011)
বিচ্ছেদ- শব্দটা ছোট, উচ্চারণেও তেমন ঝকমারি নেই। অথচ অনুভবে কী ভীষণ বিয়োগান্তক! বিচ্ছেদ শুধু কাগজে কলমের বিষয় নয়, একরাশ স্বপ্ন-বিশ্বাস-পরিকল্পনারও অপমৃত্যু।
দুজন মানুষের ব্যক্তিগত দর্শন যখন আলাদা হয়ে যায়, কোনভাবেই যখন এক সরলরেখায় না মিলে বিপরীতে এগোয়- তখন হয়তো বিচ্ছেদই একমাত্র উপায়।
কিন্তু বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াই কি সহজ? সম্পর্কের বাতাবরণ কি কেবল দুজনের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে? আপাতদৃষ্টিতে সফল একটা সম্পর্ক যখন বালির বাঁধের ন্যায় ভেঙে পড়ে তখন পারিপার্শ্বিক সকলেই অল্প বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সিমিন ও নাদেরের ১৪ বছরের সংসারে আচমকা মতবিরোধেই ছবির সূচনা। ভবিষ্যৎ, জীবিকা আর একমাত্র সন্তানের উন্নত জীবনের কথা ভেবে সিমিন চায় প্রবাসকে বেছে নিতে। উলটো পিঠে নাদের তখন বৃদ্ধ পিতার প্রতি কর্তব্য পালনে নিমগ্ন। দুজনের অনৈক্য গড়ায় ডিভোর্সে। তবে সেই উত্তাপের কড়া আঁচটা লাগে আরও এক পরিবারে- রাজিয়া-হোজ্জাতের সংসারে। দুর্ঘটনা আর ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে নিমজ্জিত হতে থাকে

পারিবারিক সংঘাতের সাথে লিঙ্গ বৈষম্য, মানসিক দ্বন্দ্ব আর ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির অপূর্ব সন্নিবেশ আসগার ফারহাদির ‘এ সেপারেশন’। মাত্র ৮ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ছবিটির বিশ্বব্যাপী আয় ২৫ মিলিয়ন ডলার।
২০১২ সালের অস্কার আসরে সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের পুরস্কার জেতে এটি। ৬১ তম বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও গোল্ডেন বেয়ার অর্জনের পাশাপাশি সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী বিভাগে সিলভার বেয়ারও আদায় করে নেয়। গোল্ডেন গ্লোবেও সেরার তকমা মেলে ড্রামা জনরার এই ছবির। IMDb রেটিং- ৮.৩।
About Elly (2009)
‘সুস্থ গণতান্ত্রিক দেশে যারা বাস করেন তারা কখনোই আমাদের দ্বান্দ্বিক অবস্থানটা বুঝতে পারবেন না। আমরা যারা ইরানে বড় হয়েছি, তারা বেঁচে থাকবার জন্য মিথ্যে বলা শিখেছি। ঘর আর বিদ্যালয়- দুই স্থানে আমাদের ভিন্ন সত্তা কাজ করে। এটা একদম শৈশব থেকেই।
এই সিনেমাতেও আমরা একই জিনিস দেখতে পাই। কত সহজে আমরা কিছু গোপন ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপরকে বিচার করি। একবারও ভাবি না, এর পেছনে কত বছরের সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে। টিকে থাকবার জন্য আপনাকে মিথ্যে বলতে হচ্ছে।‘
‘এবাউট এলি’র প্রচারণায় এভাবেই রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থা প্রকাশ করেন ইরানি-ফ্রেঞ্চ অভিনেত্রী গোলশিফতেহ ফারাহানি।
‘ছবির প্রথম ছত্রে মনে হবে একদল বন্ধুর গল্প। যৌবনের সায়াহ্নেও তাদের মাঝে অপরিসীম জীবনীশক্তি টিকে আছে। ব্যক্তিগত জীবনে হয়তো টুকটাক সংঘাত আছে, কিন্তু অবকাশে সে ব্যাপারে থোড়াই কেয়ার তাঁরা।
এই আড্ডাবাজের দলে আছে সেপিদেহ-আমির দম্পতি, শোহরেহ-পেয়মান দম্পতি এবং সদ্য পরিণীত নাজি- মনশের জুটি। একটু দলছুট হয়ে আছে আরও দুজন- এলি ও সদ্য ডিভোর্সি আহমাদ। সেপিদেহর ইচ্ছেতেই এলির আগমন, অজুহাত বাচ্চাদের দেখভাল। অথচ রাখঢাক রেখে প্রত্যেকেই জানে আহমাদ-এলিকে একসূত্রে বাঁধাই যে সকলের অভিপ্রায়!

সমুদ্রতীরের ভিলাতেই রাতভর চলে তুমুল আড্ডা- খুনসুটি, কৌতুকের ঘনঘটা। ব্যস্ত জীবনযাপনের মাঝে একফালি অবসর যেন সকলের ভেতরেই জাগিয়ে তোলে স্বাধীনতার আনন্দকে। তবে আর সব সুসময়ের মত এও যেন ক্ষণস্থায়ী। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বদলে যায় প্রতিটি সম্পর্কের হিসেব-নিকেশ।
গল্পটা এলি কেন্দ্রিক হলেও স্তরে স্তরে বেরিয়ে আসে প্রতিটি চরিত্রের আত্মিক বৈচিত্র্য। এলির আকস্মিক প্রস্থান অতস কাঁচের নিচে ফেলে দেয় প্রত্যেককে, দেখায় আরোপিত নিয়মের বাঁধনে কতটা অসহিষ্ণু, ভঙ্গুর হয়ে পড়ে মানুষ।
আসগার ফারহাদি কাহিনি ও পরিচালনায় প্রান পেয়েছে ১১৯ মিনিটের ‘এবাউট এলি’ বা ‘দারবারায়েহ এলি’। সাড়ে তেরো লাখ ডলার ব্যয়ের বিপরীতে আয় হয় ৭০ মিলিয়ন ডলার, সাথে যোগ হয় সমালোচকদের স্তুতিও।
ইরানি চলচ্চিত্র সমালোচকদের মতে এটি চতুর্থ সেরা ইরানি মুভি। অস্কার মনোনয়নে পাঠানো হলেও খুব একটা সুবিধে করেনি এটি। তবে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সিলভার বেয়ারের সাধ মেটে ফারহাদির। IMDb রেটিং- ৮.০।
The Song of Sparrows (2008)
লক্ষ্য- লক্ষ্যচ্যুতি- স্বপ্নভঙ্গ- আশায় প্রত্যাবর্তন; এই চার স্তরে প্রকাশ করা যায় ‘চড়ুই পালের গান’কে। অনুবাদটা ধোপে টিকলো না তো! তাহলে শুনুন গল্পটা।
কাহিনি আবর্তিত হয় উটপাখির খামারের একনিষ্ঠ কর্মী করিমকে ঘিরে। তাঁর মনপ্রাণ সমস্তটাই অর্পিত কাজে, যাকে আজকাল প্যাশন ধরা হয়- ওটাই। তবে পেশার প্রতি প্রেম অঢেল হলেই যে পয়সাও ছাপিয়ে আসবে তা তো নয়। ছাপোষার হাতে যতটুকু আসে মাসান্তে তাতে কোনমতে সংসার চলে।
বড় মেয়ে হানিয়েহর হিয়ারিং এইড নষ্ট হবার পর থেকেই করিমের মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়ে। বাড়তি খরচের যেখানে উপায় নেই সেখানে এত খরচা! মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে চাকরিও হারায় সে। পেশা বদলে শহরে মোটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। মিলিত হয় নিত্যনতুন মানুষের সাথে- অম্ল মধুর অভিজ্ঞতার সাথে জমা হতে থাকে অর্থকড়িও।
কিন্তু এত শ্রম যেই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তা যেন ক্রমান্বয়ে মিলিয়ে যেতে থাকে। যুক্ত হতে থাকে ভিন্ন স্বপ্ন। প্রকৃতিবাদী করিম ধীরে ধীরে পরিণত হতে থাকে বস্তুবাদীতে। আত্মার সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাঁর।
তবে সেই অবস্থাও অস্থায়ী। দুর্ঘটনায় ফের বন্ধ হয় আয়ের পথ। স্ত্রী ও সন্তানদের উপর নির্ভরশীল হতে হয় ঘরের সদাব্যস্ত মানুষটিকে। এই সুযগে ছেলে হুসেইনকে আরও গভীরভাবে অবলোকন করতে থাকে করিম। টের পায় তাঁরই মতো স্বপ্নবাজ এই ছোট্ট ছেলেটি। কিন্তু তাঁরই মত পরিণতি নয় তো এর? পেশার চাপে জীবনের আনন্দ হারিয়ে ফেলবে না তো সেও?
মাজিদ মাজিদির গল্পের খাতা যেন অফুরান। ইরানের গ্রামীণ জীবন ও বেকারত্বের সূক্ষ্ম উচ্চারণ পাওয়া যায় এই ছবিতে। দারিদ্র্যের সাথে অনুরাগের সংঘাত মানুষের আত্মিক যোগাযোগের দ্বৈরথই ড্রামা জনরার এই সিনেমার উপজীব্য।

বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন এওয়ার্ডস সহ বেশ কয়েকটি উৎসবে পুরস্কৃত হ্ন রেজা নাজি। IMDb রেটিং- ৭.৯।
Taste of Cherry (1997)
কিয়ারোস্তমির অভূতপূর্ব দর্শনের ছবি ‘চেরির সোয়াদ’। একে সেরা ইরানি সিনেমার তালিকায় শেষে রাখায় বিশেষ মার্জনা প্রার্থী। তবে পাঠক মাথায় রাখুন, বরেণ্য এই নির্মাতাদের কর্মের ক্রম নির্ধারণের সাহস এই নাদান লেখকের নেই।
খামেনির শাসনামলে ‘টেস্ট অফ চেরি’ বিদ্রোহের নাম। কট্টর ইসলামি শাসনে আবৃত ইরানে বৈপ্লবিক ধারণা প্রকাশই ছিল আব্বাস কিয়ারস্তোমির লক্ষ্য। ইসলামি জীবনব্যবস্থায় ‘আত্মহত্যা’কে মানা হয় অন্যতম ক্ষমাহীন গুনাহ বা পাপ হিসেবে। সেখানে এক আত্মহন্তারকের যাত্রাপথের সঙ্গী হই আমরা। ধুলি ধূসরিত পথে জনাব বাদি এবং তাঁর ক্ষণিকের সঙ্গীদের আলাপনে বোঝার চেষ্টা করি তাঁর আত্মঘাতী হবার মূল কারণ।
অর্থের বিনিময়ে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিবিষ্ট জনাব বাদি। তাইতো ইরানের ধূলিময় প্রান্তরে কখনো তরুণ সেনা, শিক্ষার্থী, সামান্য কর্মচারী সকলেই এক গাড়ির তলে শোনে বাদির অভিলাষ। প্রত্যেকেই নিজস্ব ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটায়,কেউ পলায়নপর, কেউ নীতির বুলি আউড়ে ফিরিয়ে আনতে চায় তাকে। কিন্তু মৃত্যুকে যে স্বকীয় মাত্রায় নিয়ে যায়, জীবনের ওপারের অনিশ্চিত সত্যকে যে বরণ করে নিয়েছে তাকে কীভাবে ফেরাবেন আপনি? ফেরানোও কি যুক্তিসঙ্গত? বুনো চেরির সোয়াদ কি তাকে ধুলির তখতের সাথে যুক্ত করতে পারবে? নাকি জনাব বাদি সকল শৃঙ্খলমুক্ত হয়েই দর্শকের সামনে এসেছেন?

ছবির শেষাংশ আমাদের হতবিহবল করে। এর সমাপ্তি নিয়ে বিতর্ক প্রচুর। শেষে অপার্থিব আঁধারে আদতেই বাদির মৃত্যু হয় নাকি গোটাটাই একখানা ডকুমেন্টরি সে প্রশ্ন থেকেই যায়। গতানুগতিকতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দর্শককে ফোর্থ ওয়াল ভেঙে বাস্তবতার সামনে দাঁড় করান পরিচালক। সরাসরি মানুষের অস্তিত্বের সংকটকে প্রকট করেন এখানে।
সিনেমার পুরো সময় রিলের ফিতেতে পরিচ্ছন্ন অথচ বিষণ্ণ দৃশ্যমালা দর্শককে মহাকাব্যিক একাকীত্বের স্বাদে আবৃত করে নেন পরিচালক কিয়ারোস্তমি। অথচ শেষ চার মিনিটে বদলে যায় গোটা প্লট, সাথে যুক্ত হয় ডিজিটাল ইমেজের ঘষা আবহাওয়া। ব্যাকগ্রাউণ্ডে লুই আর্মস্ট্রঙয়ের ‘Saint James infirmary’ এর লিরিক্স ভেসে আসে ‘Let her go Let her go, God bless her’.
মৃত্যুই জীবনের চরমতম সত্য। অথচ যখন কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে একে আলিঙ্গন করে তখনই কেন এর বিরোধিতা করা হয়? পুরো ছবি জুড়ে দর্শক বাদির মৃত্যু ভ্রমণের উত্তর খোঁজে, তাঁর প্রতি সহমর্মী হওয়া উচিত নাকি বিরোধী হওয়াটা সমীচীন- এই দ্বন্দ্বই সম্ভবত প্রভাবিত করে দর্শককে।
পাম ডি’অর জয়ী ছবিটি লং শটে চিত্রায়িত আর মিনিমালিস্ট ঘরানার এই ছবি বহু সমালোচকের চোখে গত শতাব্দীর অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র। IMDb রেটিং- ৭.৭।
আপনার চোখে ইরানি সেরা মুভি কোনটি?
লিখেছেন- সারাহ তামান্না
আরও পড়ুন- চলচ্চিত্র নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাৎকার